১৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার

রাজবাড়ীতে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘অমানুষ’-এর জমকালো প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত

রাজবাড়ী ভয়েস ডট কম : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘অমানুষ’-এর জমকালো প্রিমিয়ার শো। গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দৌলতদিয়া মনোরমা সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে স্থানীয় দর্শকদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

এসপি ফিল্মস ও প্রিয়া মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে প্রায় তিন শতাধিক দর্শকের উপচে পড়া ভিড় ছিল। প্রিমিয়ার শো ঘিরে গোয়ালন্দ ও রাজবাড়ী এলাকার তরুণ শিল্পী, নির্মাতা ও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে দেখা যায় প্রাণবন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা। অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় স্থানীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনের এক মিলনমেলায়।

চলচ্চিত্র ‘অমানুষ’-এর কাহিনি রচনা করেছেন সাইফুর রহমান পারভেজ এবং পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা এ. এইচ. ফয়সাল। এতে সমাজের অন্ধকার দিক, মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েন ও মানুষ থেকে ‘অমানুষ’ হয়ে ওঠার নির্মম বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন মুগ্ধ শাহরিয়ার, সাইফুর রহমান পারভেজ, ইশা আলবিদা, শিশু শিল্পী কথা মনি, অ্যালেভিয়া অন্তরা, তুশি ইসলাম, আকরাম, সাইদুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, এরশাদ রহমান, আজিজ মুন্সী, রিপনসহ আরও অনেকে।

প্রিমিয়ার শোতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সদস্য ও গোয়ালন্দ মঞ্চ নাট্য অভিনেতা প্রণব কুমার ঘোষ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অভিনেতা ও গোয়ালন্দ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।

পরিচালক এ. এইচ. ফয়সাল বলেন, “এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজের অমানবিক দিকগুলো তুলে ধরেছি। মানুষের মধ্যে যে অন্ধকার বাসা বাঁধে, তা যদি আমরা চিনতে পারি, তবেই পরিবর্তনের পথ খুলবে।”

অভিনেতা ও লেখক সাইফুর রহমান পারভেজ বলেন, “চলচ্চিত্রে সমাজের অন্ধকার বাস্তবতা ও মানবিক মূল্যবোধের সংকট তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে এমন একটি কাজ করতে পারা আমার জন্য গর্বের বিষয়।”

অভিনেতা মুগ্ধ শাহরিয়ার বলেন, “স্বল্প বাজেটে নির্মিত হলেও দর্শকদের ভালোবাসা আমাদের পরিশ্রমকে সার্থক করেছে। এই আয়োজন স্থানীয় সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রচর্চায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।”

প্রধান অতিথি প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, “রাজবাড়ী ও গোয়ালন্দের তরুণরা এখন নিজেদের সৃজনশীলতায় এগিয়ে আসছে। তাদের এই উদ্যোগ চলচ্চিত্রাঙ্গনের জন্য আশার বার্তা বয়ে আনছে। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে আরও বড় চলচ্চিত্র প্রযোজনা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

প্রিমিয়ার শো শেষে দর্শকরা নির্মাতা, অভিনেতা ও কলাকুশলীদের প্রশংসায় ভাসান। অনেকে বলেন, স্থানীয়ভাবে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে গল্প, অভিনয় ও সামাজিক বার্তা একসঙ্গে ফুটে উঠেছে। প্রেক্ষাগৃহজুড়ে করতালি ও উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠান।

Scroll to Top