রাজবাড়ী ভয়েস ডট কম : রাজবাড়ীতে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পদোন্নতির অজুহাতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ইউনুস আলী মুন্সী-র বিরুদ্ধে সরাসরি ঘুষ গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গত ১৪ জুলাই ৩০ জন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার পদোন্নতির লক্ষ্যে একটি গ্রেডেশন তালিকা ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার দপ্তরে প্রেরণ করা হয় (স্বারক নংঃ ০৫.৩০.৮২০০.০২০.১২.০০৩.২৩-৬২৯)।
অভিযোগে বলা হয়, গ্রেডেশন তালিকায় ৪ নং ক্রমিকের কর্মকর্তা ইউনুস আলী মুন্সী প্রথমে প্রত্যেক কর্মকর্তার কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার দপ্তরে ফাইল পাঠানোর সময় তিনি পুনরায় প্রত্যেকের কাছ থেকে জনপ্রতি ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আলিমুজ্জামান অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ইউনুস আলী মুন্সীসহ আরও কয়েকজন তার সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেন এবং তাকে ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতি থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন।
অভিযোগকারীর বক্তব্য
মোঃ আলিমুজ্জামানের স্ত্রী ও খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী ইনস্টিটিউট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ফরিদা পারভীন জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
তিনি বলেন, “আমি একজন শিক্ষক হয়েও দেখছি, কত সাহসের সঙ্গে এ ব্যক্তি দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি ইউনুস আলী মুন্সীর ঘুষ বাণিজ্যের ভিডিও ফুটেজ পাঠিয়েছি, যেখানে তার নিজের মুখের স্বীকারোক্তি রয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে অনেকেই প্রাণ দিয়েছেন, অনেকেই পঙ্গু হয়েছেন। তাই আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।”
ফরিদা পারভীন আরও জানান, অভিযোগ তদন্তের জন্য তাকে ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে মোঃ ইউনুস আলী মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন—
> “আমি কোনো টাকা নেই নাই। আমাকে হয়রানি করার জন্যই এ অভিযোগ করা হয়েছে। আলিমুজ্জামানকে কল্যাণ সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। ভিডিও রেকর্ডের বিষয়টিও সাজানো।”
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হক জানান, এ ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।