রাজবাড়ী ভয়েস ডট কম: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ইমাম মেহেদী দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের ১২ ফুট উঁচুতে দাফনকৃত কবরকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পবিত্র কাবা শরীফের আদলে নির্মিত এ কবরকে ইসলামী শরীয়তবিরোধী উল্লেখ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৌহিদী জনতা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলা মডেল মসজিদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে—আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে কবর স্বাভাবিক না করা হলে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে আনসার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং পরবর্তীতে ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সংগঠনের সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন প্রামানিক লিখিত বক্তব্যে বলেন, আশির দশকে নুরাল নিজেকে ভণ্ড ইমাম মেহেদী দাবি করে কালেমা, আজানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুশাসন বিকৃত করেছিলেন। আন্দোলনের মুখে ১৯৯৩ সালে মুচলেকা দিয়ে এলাকা ছাড়লেও পরে আবার দরবারের কার্যক্রম শুরু করেন। মৃত্যুর আগেই তিনি কাবার আদলে ১২ ফুট উঁচু বেদি তৈরি করেন এবং গত ২৩ আগস্ট মৃত্যুর পর সেখানেই বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। এমনকি ধারণা করা হচ্ছে, তাকে দক্ষিণমুখী মাথা দিয়ে দাফন করা হয়েছে, যা শরীয়তবিরোধী।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, উত্তেজনা প্রশমনে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনো কবর নিচে নামানো হয়নি। ফলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নুরালের বড় ছেলে নূর তাজ খ্রিষ্টধর্ম প্রচার করছে এবং মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছে বলে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে।
এসময় রাজবাড়ী জেলা ইমাম কমিটির সভাপতি মাওলানা মোঃ ইলিয়াস আলী মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আইয়ুব আলী খান, সদস্য কে.এ মহিত হিরা, গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাইদুল সরদারসহ স্থানীয় ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর পর রাতেই দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে নুরাল পাগলকে ওই উঁচু বেদিতে দাফন করা হয়। প্রথমে কাবার আদলে রং করা হলেও আন্দোলনের মুখে পরবর্তীতে রং পরিবর্তন করা হয়; তবে কবর নিচে নামানো হয়নি।