৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার

স্বাক্ষর জাল করে অনাস্থা প্রত্যাহার! কসবামাজাইল ইউপি চেয়ারম্যান সুফল মাহমুদকে ঘিরে নতুন বিতর্ক

রাজবাড়ী ভয়েস ডট কম : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার মাহমুদ সুফলের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্যদের দাবি, চেয়ারম্যান সুফল তাদের ছয়জনের স্বাক্ষর নকল করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)-এর নিকট অনাস্থা প্রত্যাহারপত্র জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ক্ষুব্ধ সদস্যরা একত্রিত হয়ে ইউএনও কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন এবং এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।

প্যানেল চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “চেয়ারম্যান সুফল দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের কাজে অনিয়মিত। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে তিনি কার্যক্রমে আর নিয়মিত থাকেন না। ফলে ইউনিয়নের কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ে, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। এসব কারণে আমরা ইউএনও স্যারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু পরে চেয়ারম্যান আমাদের ৬ জনের স্বাক্ষর জাল করে অনাস্থা প্রত্যাহারপত্র জমা দেন। আমরা কেউই তাতে স্বাক্ষর করিনি।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, অনাস্থা প্রত্যাহারের জন্য চেয়ারম্যান নিয়মিত সদস্যদের নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন—১নং ওয়ার্ড সদস্য মো. তামজিদ হোসেন, ২নং ওয়ার্ড সদস্য আফসার উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য লিয়াকত আলী মোল্লা, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আনিছুর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল হোসেন, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আক্কাস আলী এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা—চম্পা খাতুন, সুফিয়া খাতুন ও রোকেয়া খাতুন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস. এম. আবু দারদা বলেন, “আমি অনাস্থা পত্র এবং অনাস্থা প্রত্যাহারপত্র—দুটোই পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেন।

Scroll to Top